ভোরে বগুড়ায়, বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে;—একদিনে তিন লাশ পড়ে গেল। উত্তেজিত জনতা (ভদ্দরলোকি ‘বাংলায়’ যাক...
ভোরে বগুড়ায়, বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে;—একদিনে তিন লাশ পড়ে গেল।
উত্তেজিত জনতা (ভদ্দরলোকি ‘বাংলায়’ যাকে বলে ‘মব’) নিজেরাই কোটাল হয়ে ‘আসামি’ পাকড়াও করল, নিজেরাই ‘জাস্টিস’ তথা ‘কাজি’ হয়ে দণ্ড দিল এবং নিজেরাই জল্লাদ হয়ে তিনজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।
‘পুলিশকে বলে লাভ নেই’-এই যুক্তির ওপর ভর করে তাৎক্ষণিক বিচারপ্রত্যাশী পাবলিকের এই তিনটি হত্যাকাণ্ডকে সাধারণ জনতা বলল ‘মব জাস্টিস’ বা ‘উন্মত্ত জনতার বিচার’।
যেহেতু ‘জাস্টিস’ কথাটার আক্ষরিক মানে ‘ন্যায়বিচার’, সেহেতু ‘মব জাস্টিস’ কথাটার মধ্যে পাবলিকের একটা বড় অংশ এক ধরনের ন্যায্যতার মিশেল খুঁজে পেল।
এগুলোকে তারা আর স্রেফ অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড বা খুন হিসেবে দেখল না। এর মধ্যে কোথাও যেন একটু ন্যায্যতার দ্যোতনা তারা খুঁজে পেল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় আমরা জানলাম, ফজলুল হক মুসলিম হলে বুধবার সন্ধ্যার পর ‘মোবাইল ফোনচোর’ সন্দেহে শিক্ষার্থীরা তফাজ্জল নামের এক যুবককে ধরলেন।
সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা মুহূর্তে ‘মব’ হয়ে উঠলেন। মোবাইল চুরিকে তাঁদের কাছে জনগণের কোটি কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করে দেওয়ার চাইতে বড় চুরি ঠাওর হলো। তাঁরা চোরের বিচারে ‘জাস্টিস’ চর্চা শুরু করলেন।
মব তফাজ্জলকে গেস্টরুমে এনে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় ‘সাপ মারা’ মার দিল।
COMMENTS