জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শ্রেণিকক্ষের সামনে ও কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনে একটি বড় আঁশফল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে...
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শ্রেণিকক্ষের সামনে ও কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনে একটি বড় আঁশফল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে গভীর রাতে গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সরেজমিনে গাছটির কাটা অংশ এবং ডালপালা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
গভীর রাতে এভাবে গাছ কেটে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাগর হোসেন বলেন, গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে ক্লাস করে বের হয়ে গাছটির নিচে আড্ডা দিতাম। কত শত স্মৃতি বিজড়িত গাছটির মৃত্যু হলো আজ। কেটে ফেলার সময়ও ফলে ভরপুর ছিল গাছটি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তদন্ত করে সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
জানা যায়, বুধবার (২৪ মে) দিনগত গভীর রাতে লোকজন নিয়ে এসে গাছটি কেটে ফেলেন মো. সালাউদ্দীন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. সালাউদ্দীন বলেন, পরশু স্টেট অফিসার কামাল হোসেন সরকারকে জানোর পর তিনি আমাকে ট্রেজারার স্যারের কাছে নিয়ে যান। ট্রেজারার স্যার অনুমতি দিয়েছেন বলেই আমি গতকাল গাছ কেটেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসার কামাল হোসেন সরকার বলেন, আমাকে উনি (সালাউদ্দীন) আঁশফল গাছের কথা বলেননি। ওইদিকে যে নারকেল গাছ আছে সেটার ব্যাপারে কথা বলেছেন। আমি বলেছি নারকেল গাছ কাটলেও ট্রেজারার স্যারের অনুমতি লাগবে। আমি আজ সারাদিন সচিবালয়ে ছিলাম, গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো।
মসজিদ কমিটির দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আমি নারকেল গাছের ডালপালা ছাঁটাইয়ের বিষয়ে অবগত ছিলাম। গাছ কাটার ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি উপাচার্যকে অবগত করেছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
শান্ত রায়হান/কেএসআর
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/VrzGmiS
https://ift.tt/0ZxqhUY
COMMENTS