সুখী দাম্পত্য জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন দুই পক্ষেরই। সেটার অভাব দেখা দিলে একসঙ্গে পথচলার প্রতিজ্ঞা করেও হঠাৎ থমকে যে...
সুখী দাম্পত্য জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা প্রয়োজন দুই পক্ষেরই। সেটার অভাব দেখা দিলে একসঙ্গে পথচলার প্রতিজ্ঞা করেও হঠাৎ থমকে যেতে পারে এই যাত্রা। তবে বিয়ে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই স্পষ্ট ধারণা নিয়ে রাখবেন। যেন পরবর্তীতে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমনটা ভেবে আফসোস করতে না হয়।
১। সব সম্পর্কেই থাকে টানাপড়েন। মতের অমিল, ঝগড়া, বিবাদ হতেই পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কি নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলো নিয়ে দুইজন একান্তে যথেষ্ট আলোচনা করেছেন? আলোচনা করুন ও সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে তবেই নিন বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।
২। বিয়ে বিচ্ছেদের পর বেশ বড় ধরনের মানসিক ধকল যায়। এই বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুত তো আপনি? মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে তারপরই হাঁটুন বিয়ে বিচ্ছেদের পথে।
৩। যদি সন্তান থেকে থাকে তবে সে বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে কার কাছে থাকবে সেটি আলোচনা করে নিন। সন্তানের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার সব ধরনের উপায় নিয়ে আলোচনা করে নিন বিচ্ছেদের আগেই। সন্তানের উপর যেন এই ঘতনার মাত্রাতিরিক্ত প্রভাব না পড়ে- সেটা নিশ্চিত করতে হবে দুজনকেই।
৪। আরও একবার ভেবে দেখুন সঙ্গীর উপর কোনও ধরনের আবেগ বা অনুভূতি কাজ করে কিনা। অনেক সময় সম্পর্কে একঘেয়েমি চলে আসে। সেক্ষেত্রে সেই একঘেয়েমি দূর করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে যদি মনে করেন কোনও ভালোবাসা কিংবা আবেগ আর অবশিষ্ট নেই- তবে বিচ্ছেদই শ্রেয়।
৫। বিচ্ছেদের আগে একবার ম্যারেজ কাউন্সিলর বা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন। এতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন এটা ভেবে পরবর্তীতে আর পস্তাবেন না।
COMMENTS