🔺 টোকিওতে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা অর্জন ...
🔺 টোকিওতে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি অনেক রক্তের বিনিময়ে। এই অর্জনে পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে আকাসাকা প্যালেসে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’প্রাপ্ত জাপানি নাগরিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের পাশে দাঁড়ানো চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখায় কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তিনি এই সম্মাননা দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সেই দুঃসময়ে সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃসময়ের বন্ধুদের আমরা কখনও ভুলি না।’
বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাপানের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন আকাসাকা প্যালেসে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের পাশে ছিলেন ও আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আমি সরকারে আসার পর থেকে তাদের খোঁজ করেছি, খুঁজে বের করেছি এবং আমাদের সাধ্যমতো সবাইকে সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি, সম্মান দিয়েছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশই বোধ হয় একমাত্র দেশ।
‘সে সময় (১৯৭১) যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের আমরা কখনও ভুলতে পারি না; তাদের অবদান আমরা ভুলতে পারি না।’
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাঙালি, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি অনেক রক্তের বিনিময়ে। এই অর্জনে পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
সম্মাননাপ্রাপ্তদের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে আরও চারজন মহান বন্ধুকে সম্মান জানিয়েছে, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা আমাদের অসহায় মানুষদের জন্য মানবিক ত্রাণ ও চিকিৎসা সুবিধা পাঠিয়েছিলেন।’
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় ইতোপূর্বে সম্মাননা পাওয়া ৮ জন জাপানি নাগরিকের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের ওই সংকটময় মুহূর্তে জাপানি বন্ধুরা আমাদের দুর্দশা বুঝতে পেরেছিলেন এবং মানবতার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন। এজন্য তারা (জাপানিরা) অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু পিছিয়ে যাননি। তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমাদের আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিল। সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ছিল জাপানি স্কুলের বাচ্চাদের অবদান। আমাদের সাহায্য করার জন্য ওরা টিফিনের অর্থ সঞ্চয় করে দান করেছিল।’
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব অটুট থাকুক। আমরা শুধু আমাদের বন্ধুদের সম্মান করি না, জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনও উদযাপন করি। জাপানের সঙ্গে ৫০ বছর ধরে চলে আসা বন্ধুত্ব আগামী প্রজন্ম আরও এগিয়ে নেবে প্রত্যাশা করি।’
আরও পড়ুন:জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা
জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
জাপানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
জাপান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রিদেশীয় সফর শুরু মঙ্গলবার
- ট্যাগ:
- প্রধানমন্ত্রী
COMMENTS