চাকরির প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে দুই মাস আগে ফরিদপুর যৌনপল্লিতে ঠাঁই হয় এক তরুণীর। বান্দরবানের লামা থানার আম্বার ব্যাপারীপাড়ায় (১৯) ...
চাকরির প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে দুই মাস আগে ফরিদপুর যৌনপল্লিতে ঠাঁই হয় এক তরুণীর। বান্দরবানের লামা থানার আম্বার ব্যাপারীপাড়ায় (১৯) বাড়ি ওই তরুণীর। যৌনপল্লিতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হন তিনি। অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হতো তাঁকে। এমন অভিযোগ জানিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে তিনি ফোন করেন গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টায়। তাঁকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ৯৯৯ কল করে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল বরকত শেখ কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল বরকত তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। ৯৯৯ ডিসপোজার এএসআই মিল্টন বালা সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে দলের নেতৃত্বে থাকা এসআই নাঈম ৯৯৯কে জানান, তারা ১৯ বছর বয়সী তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। পরে তরুণীর অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা থানায় এসে পৌঁছালে তাঁদের জিম্মায় মেয়েটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
COMMENTS