বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা। রোববার রাতে বরিশাল নগরের সদর রোডে কীর্তনখোলা মিলনায়তনে ছবি: প্রথম আলো অনলাইন ...
অনলাইন ডেক্স◾জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে বরিশালে বিভাগীয় প্রস্তুতি সভা করেছে বিএনপি। ওই সভায় অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, এই গণবিরোধী সরকারকে হঠাতে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনে এক দফা দাবি, সেটা হচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট, অবৈধ সরকারের পতন। এই সরকারকে পদত্যাগ করাতে না পারলে দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে, গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে, তা চিরতরে কবর রচনা হবে।
আজ রোববার বিকেলে নগরের সদর রোডে কীর্তনখোলা মিলনায়তনে এই প্রতিনিধি সভায় বরিশাল বিভাগের সব জেলা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্যরা অংশ নেন। সভা চলে রাত আটটা পর্যন্ত। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান। সভাটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান।
আন্দোলনে থাকবে বিএনপি, ২২ আগস্ট থেকে নতুন কর্মসূচি
তেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরকারের গুম এবং ভোলায় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার থেকে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করবে বিএনপি। এই কর্মসূচি সফল করতে বরিশালে বিএনপির উদ্যোগে বিভাগীয় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির সব নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে সভায় বক্তারা বলেন, দেশে আজ ন্যূনতম নাগরিক অধিকার নেই। সভা-সমাবেশ ও বাক্স্বাধীনতা হরণ করে সরকার যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ভোলায় পুলিশি হামলা। সরকার স্বার্থরক্ষার জন্য দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে নিজেদের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার যে অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করার বিষয়েও দলীয় নেতাদের তাগাদা দেন বক্তারা।
বক্তারা বলনে, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। গত ১২ বছরে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে গুম করেছে। হত্যা, নির্যাতন করে স্বাধীন দেশকে হত্যা, গুম আর আতঙ্কের নরকে পরিণত করেছে। এই দুঃশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে না পারলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র—সবকিছু ভূলুণ্ঠিত হয়ে যাবে। সভায় বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করতে বিভিন্ন জেলা, উপজেলার প্রতিনিধিরা মতামত তুলে ধরেন। একই সঙ্গে গ্রাম পর্যায়ে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া এবং এসব আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করাসহ নানা মতামত তুলে ধরেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন আলম, নুরুল ইসলাম, হাসান মামুন, হায়দার আলী, মাহবুবুল হক, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবায়দুল হক, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
COMMENTS